

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
এলজিইডির আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের টিম লিডার ও সাবেক শিক্ষা লোগ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবু মো. শাহরিয়ার,ও তার স্ত্রী উম্মে নূর তাসলিমা আক্তারের অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
তাদের এসব অবৈধ উপার্জনের বিষয়ের তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে দুদক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।
দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানান যায়,আবু মো.শাহরিয়ার এলজিইডির আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের বর্তমান টিম লিডার পদে কর্মরত আছেন। তিনি ইতি পূর্বে এলজিইডির শিক্ষা উন্নয়ন প্রোগ্রাম প্রকল্পের পরিচালক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তার পিতার নাম-শেখ আব্দুল লতিফ, মাতার-বেগম জিন্নাত,তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং-১৯২৪৫৪৮৬৮৩,জন্ম তারিখ:২৫/০৬/১৯৬৪ইং,তার টিআইএন নং-২৭৮৪৭৮১৫৫৫৫, কর সার্কেল-৭২, কর অঞ্চল-৪,ঢাকা। তার স্ত্রী নাম উম্মে নূর তাসলিমা আক্তার, তার স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৮২০৫৫৫৭৯৫৫,জন্ম তারিখ: ২১/০৪/১৯৭৪ইং,তার টিআইএন নং-১৬২৪৩০১০৭৮৫৬, কর অঞ্চল সার্কেল-২,রংপুর,তার স্ত্রীর পিতার নাম-মো. তোফাছছল হক, মাতার নাম-সালেহ হক,তাদের উভয়ের বর্তমান ঠিকানা: বাসা-১৭,১৮,রোড-০১,সেকশন-১, ব্লক-সি, কাদিরাবাদ হাউজিং,মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭। তার স্ত্রী একজন গৃহিনী তাদের অবৈধ সম্পদের ফিলিস্তি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ বাসা-১৭,১৮,রোড-১,সেকশন-১, ব্লক-সি,কাদিরাবাদ হাউজিং,মোহাম্মদপুর,ঢাকা-১২০৭। উক্ত বাসায় তাদের ১১টি ফ্ল্যাট রয়েছে। যা সম্পূর্ণ মালিক তার স্ত্রী উম্মে নূর তাসলিমা সম্পূর্ণ মালিক। সৈয়দপুর নীলফামারি আবু মো.শাহরিয়ার
অভিযোগসূত্রে আরও জানা যায়,কয়েকটি দোকান আছে। ৪০-৫০ বিঘা জমি রয়েছে। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগাম পাহাড়ে কয়েকবিঘা জমি ক্রয় করছেন। এছাড়াও ঢাকা শহরে তার আরো একাধিক বাড়ী,গাড়ী,ফ্ল্যাট,প্লট রয়েছে। তার স্ত্রীর নামে কয়েকটি ব্যাংকে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা জমা রয়েছে। তিনি বর্তমানে আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের টাকা লুটে পুটে আত্মত্মসাত করিতেছেন। তিনি ইতি পূর্বে এলজিইডির শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক থাকা কালীন প্রায় ৩০০ কোটি আত্মসাত করেছেন। তার বিষয়ে তদন্ত করলে আরো নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ পাওয়া যাবে। বিষয়টি তদন্ত করা জরুরী।
এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দুর্নীতির এই অভিযোগ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।