1. alamgirhossen6085@sokalerkhobor24.com : alamgirhossen6085 :
  2. dinislam1144@sokalerkhobor24.com : Din Islam : Din Islam
  3. litonakter@sokalerkhobor24.com : litonakter :
  4. nalam.cht@sokalerkhobor24.com : nalam.cht :
  5. reporter1@sokalerkhobor.com : reporter1 :
  6. info@sokalerkhobor24.com : sokalerkhobor24 :
  7. admin@sokalerkhobor24.com : unikbd :
“উলিপুরের তিস্তা চরে অসুস্থ রোগী ও মালামাল পারাপারে একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি” | সকালের খবর ২৪
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পরকীয়ার জেরে লাশ কেটে ২৬ খণ্ড: নিহতের বন্ধু গ্রেফতার দুই বছরের সূর্যের অস্ত-পানিতে ডুবে নিভে গেল শিশুর প্রাণ বাঁশখালীতে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর স্বরণ সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মিরসরাইয়ে উদয়ন মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় ৯০০-র বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ আমতলীতে গভীর রাতে বাসে আগুন, পুড়ে ছাই আমতলীতে ক্লাইমেট স্ট্রাইক পালিত রাজধানীতে আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা-কর্মী গ্রেফতার মাধবপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ছিনতাইকারি আটক ফুলবাড়ী বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী এ জেড এম রেজওয়ানুল হকের পথ সভায় হাজারো নেতা কর্মীর ঢল নওগাঁ-৬ আসনের রাণীনগরে ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনী মতবিনিময় সভা

“উলিপুরের তিস্তা চরে অসুস্থ রোগী ও মালামাল পারাপারে একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি”

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৫২ বার পঠিত
Oplus_131072

মোঃ নূরবক্ত মিঞা, স্টাফ রিপোর্টারঃ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার চরাঞ্চলে অসুস্থ রোগী ও মালামাল পারাপারের ভরসা ঘোড়ার গাড়ীর কদর বেড়েছে। ফলে, ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে মালামাল ও বয়স্ক অসুস্থ্য মানুষ বহন করে জীবিকা নির্বাহ করছে প্রায় শতাধিক গাড়োয়ান। এখন তাদের এক মাত্র আয়ের উৎস ঘোড়ার গাড়ি। প্রতিদিন যা আয় করে তা দিয়ে চলে সংসার। তিস্তার দুর্গম চরাঞ্চলের মালামাল আনা-নেওয়ার একামাত্র যানবাহন এই ঘোড়ার গাড়ি। চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি সরকারি ও বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও নেই কোন যোগাযোগ ব্যাবস্থা। এদিকে অসুস্থ রুগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিতে নির্ভর করতে হচ্ছে একমাত্র ঘোড়ার গাড়ি। নিরুপায় হয়ে রুগীদের ঘোড়ার গাড়ি করে ঘাটে এনে নৌকা দিয়ে পাড়াপাড় করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আনা-নেওয়া করা হচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলায় তিস্তা নদী দ্বারা বেষ্টিত দলদলিয়া গুনাইগাছ, থেতরাই ও বজরা সহ চারটি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়ন গুলোতে তিস্তার ভাঙ্গনে শত শত বাড়ি ঘর আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে ছোট বড় অনেক চরাঞ্চল ভেসে উঠেছে। গোড়াই পিয়ার, রামনিয়াশা, হোকডাঙ্গা, টিটমা, নাগড়াকুড়া, দড়িকিশোরপুর, মধ্য গোড়াই, কদমতলা, অজুর্ন, বিরহিম, অন্তোষ অভিরাম, সাদুয়া দামারহাট, কর্পূরা, খারিজা লাটশালাসহ অসংখ্য চরে প্রায় হাজারেরো বেশি জনবসতি গড়ে উঠেছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। কোন যোগাযোগ ব্যাবস্থা না থাকায় এসব এলাকার মানুষদের নদী পাড়ি দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতে হয় দূর্গম চরাঞ্চলে। মালামাল এক চর থেকে অন্য চরে আনা-নেওয়ার একমাত্র বাহন নিয়ে এ ঘোড়ার গাড়ি।

সরেজমিন চরাঞ্চলের ঘাট গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি ঘোড়ার গাড়িতে তোলা হচ্ছে সারের বস্তা। এসব মালামাল গাড়োয়ান নিজেই নৌকা থেকে গাড়িতে উঠাচ্ছেন। চরাঞ্চলের প্রতিটি এলাকাতেই আগের চেয়ে কিছুটা রাস্তাঘাটের উন্নতি হলেও ইঞ্জিনচালিত কোনো যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় মালামাল পরিবহনে ব্যবহার হচ্ছে দুই চাকাওয়ালা ঘোড়ার গাড়ি। মালামাল ছাড়াও মানুষ যাতায়াত করে থাকে এই ঘোড়ার গাড়িতে। চরাঞ্চলের বন্যায় পলি পড়ায় চাঞ্চলের সকল ধরনের ফসল চাষের উপযোগী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আলু, বাদাম, পেঁয়াজ, মরিচ, রশুন সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলাদি চাষে ব্যাস্ত সময় পার করছেন চরাঞ্চলের চাষিরা। এসকল চাষাবাদের জন্য বীজ, সার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নৌকা করে পাড়াপাড় করে বিভিন্ন চরাঞ্চলে নেয়ার জন্য ঘোড়ার গাড়িতে করে বহন করা হচ্ছে। গাড়োয়ানেরা সারাদিন পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন। যা আয় হয় তা দিয়ে ঘোড়ার খাবার ও জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। এসকল গাড়োয়ানের একমাত্র আয়ের পথ ঘোড়ার গাড়ি। এদিকে আলু, পেঁয়াজ সহ অন্যান্য ফসলাদি ঘরে উঠানো কিংবা বাজারে বিক্রি করতে ঘোড়ার গাড়িতেই পণ্য বহন করে ঘাটে এনে নৌকায় পাড়াপাড় করে নিয়ে যেতে হয়।ফলে কৃষকদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।

উপজেলার গোড়াইপিয়ার চরাঞ্চলের ঘোড়াগাড়ি চালক মোরশেদুল ইসলাম বলেন, তিস্তার চরাঞ্চলে সবসময় বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ হয়েই থাকে। বর্তমান আলু, পেয়াজ ও রশুন সহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হচ্ছে। বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে ঘোড়ার গাড়ি করে বস্তা প্রতি ৪০ টাকা দরে ঘাট পাড়ে পৌঁছে দেই। আবার ঘাট পাড় থেকে বিভিন্ন চরাঞ্চলে মালামাল ওই দামে পৌঁছে দেই। এভাবে দিনে প্রায় ৪০ বস্তা পর্যন্ত ঘাট পাড় ও বিভিন্ন চরাঞ্চলে আনা নেয়া করা হয়। তাতে প্রতিদিন আয় হয় ১২ ‘শ থেকে ১৫’শ টাকা। ঘোড়ার খাদ্যে প্রতিদিন খরচ হয় ৩শ ৫০ টাকা। বাকি টাকা দিয়ে সংসারের প্রয়োজনীয় খরচ চালাই।

বিভিন্ন চরাঞ্চলের ঘোড়ার গাড়ি চালক ওবায়দুল, জিয়ারুল ইসলাম, আজিত মিয়া ও আসাদুল ইসলাম সহ আরও অনেকে বলেন, তিস্তার চরে শুকনো মৌসুমে ৪-৫ মাস চলে ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে পবিহনের কাজ। মে মাসের মাঝামাঝি তিস্তা নদীতে পানি এলে বন্ধ হয়ে যায় ঘোড়ার গাড়ি। তখন থেকে বর্ষার পানি নেমে যাওয়া পর্যন্ত পরিবারের খরচ যোগাতে অন্য কাজে গতর খাটতে হয়।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সকালের খবর ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি ।
Developed By UNIK BD