

আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলীতে স্ত্রী ওতার পরকিয়া প্রেমিকের বিচার চেয়ে আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন আমতলী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মো. রাসেল
মুসল্লী ।আমতলী থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,কলাপাড়া উপজেলার চুঙ্গাপাশা গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের মেয়ে সাবিনার সাথে রাসেলের ২০১৬ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয় তাদের ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।মো. রাসেল মুসল্লী জানতে পারেন যে দীর্ঘদিন তার স্ত্রী সাবিনার সাথে তার(রাসেলের) ছোট বোনের স্বামী মো. জাকরিয়া ফকিরের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয় রাসেল তার স্ত্রীর নিকট জানতে চাইলে সে অস্বীকার করে। পরকিয়া বিষয় নিয়ে রাসেল ও তার স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হইলে রাসেলকে না জানিয়ে বিবাহের সময় দেয়া স্বর্নর কানের দুল, গলার চেইন, যাহার বাজার মূল্য অনুমান ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা বসত ঘরের আলমিরাতে থাকা ব্যবসায়ের জন্য রাখা নগদ ২,৫৮,০০০/- (দুই লক্ষ আটান্ন হাজার) টাকা নিয়া তাহার পিতার বসত বাড়ি চুঙ্গাপাশা সাকিনে চলিয়া যায়।রাসেল একাধীকবার তার স্ত্রীকেতার বাড়িতে নিয়া আসার জন্য গেলেও সে রাসেলের সাথে আসে নাই। ঘটনার দিন গত ২২/১০/২০২৫ ইং তারিখ রোজ বুধবার সন্ধ্যা ৬.৩০এর সময় রাসেল বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারেন যে,রাসেলের ভগ্নিপতি জাকারিয়া তার স্ত্রীর সাথে সাবিনার বাবার বাড়িতে একই সাথে অন্তরঙ্গ ভাবে সময় কাটাইতেছে।এঘটনা শোনার পর রাসেল সাবিনার বাড়িতে গিয়ে দেখে তার স্ত্রী ওভগ্নিপতি জাকারিয়া ঘনিষ্ট ভাবে কথাবার্তা বলিতেছে। রাসেল তার স্ত্রী ও তার ভগ্নিপতি জাকারিয়ার এহেন অন্যায় কার্যকলাপের মৌখিক প্রতিবাদ করিয়া আমার স্ত্রীকে সাথে নিয়া আসিতে চাইলে আমার স্ত্রী ও ভগ্নিপতি জাকারিয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং মিথ্যা মামলা সহ খুন-জখমের হুমকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়।আমি এ ঘটনার বিচার চাই।এ বিষয় অভিযুক্ত জাকারিয়া জানান, সে তার সুমন্দী রাসেল মুসুল্লীর কাছে টাকা পাইবে টাকা না দেওয়ার জন্য এই অপ-প্রচার চালাচ্ছেন। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন. এ ধরনের একটা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে ।