

আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি গড়ে তুলেছে প্রভাবশালীরা। জানা গেছে. আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ২০নং পূর্ব কেওয়াবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মোইউছুফ হাওলাদার, আলতাফ হাওলাদার, হালিম হাওলাদার, মোতালেব হাওলাদার হাবিবুর রহমান, আবু বকর,পাশা মিয়া,গিয়াস উদ্দিন।সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য লিখিত আবেদন করেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ খাদিজা বেগম। জানা যায়,১৯৬৫ সালে কমিউনিটি স্কুল প্রতিষ্ঠা হয় এরপরে ১৯৭৩ সালে জাতীয়করণ হয়।বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ঐএলাকার মৌজেআলী হাওলাদা ওকাছেম আলী হাওলাদার ৬২ শতাংশ জমি ঐবিদ্যালয়ের নামেসাবরেজিষ্ট্রি অফিসের মাধ্যমে দলিল করেদেন। প্রকৃতপক্ষে বিদ্যালয় মুল জমি থেকে অর্ধেক জমি ভোগ দখল করে আসছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। কেহ বসতবাড়ি কেহ দোকান ঘর তৈরি করে দখলে নিয়ে তারা বসবাস করছে। জমি উদ্ধারে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও কোন সূরাহা হয়নি। এমন অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর। এ ঘটনায় জমি দখলকারীরা বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষিকার সাথেঅন্যায় মূলক আচরণ ও মিথ্যা
মামলা করার হুমকিদেন।বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সকল ধরনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা।
স্থানীয় আলী হাওলাদারসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, প্রভাবশালীরা বিদ্যালয়ের জমি জোর করে ভোগ দখল করছেন। এমন কি তারা বিদ্যালয়ের জমি থেকে বড় বড় গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধান শিক্ষকরা বা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জমি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু করলেই প্রভাশালীরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন ভাবে হুমকিদামকি প্রদান করেন। জমি উদ্ধারের জন্য একাধিক বার শালিস বৈঠক হলেও এখনপর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি। বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের আশু হস্তক্ষে কামনা করছেন। এ বিষয় বিদ্যালয়ের জমি দখলকারীরা কোন বক্তব্য দিবেন না বলে জানিয়ে দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ খাদিজা বেগম বলেন, জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছি। এই আবেদন করায় প্রভাবশালীরা আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করতেছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল আলম মুঠোফোনে বলেন, সরকারী বিদ্যালয়ের জমি কেহ দখল করে ভোগ দখল করতে পারবেনা। প্রশাসনিক ভাবে জমি উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খান মুঠোফোনে বলেন,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।