

নিজস্ব প্রতিবেদক,সকালের খবর
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভুমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ভুমি খেকো মনোহর আলীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে,তিনি সোমবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে ভাড়াটে ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ভুমি দখলের চেষ্টা চালান। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজারের পশ্চিম পাশে বারাহিনগর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগে জানা যায়,২৪৬নং বারাহিনগর মৌজার সিএস ৮নং ও বিএস ৩৮০নং খতিয়ানের ১২২৯ দাগে ১ শতাংশ ভুমির মালিক মৃত শরাফত উল্যার পুত্র মোশাররেফ হোসেন। অপর ১ শতাংশ ভুমির মালিক ছিলেন শহিদ উল্যা। তাঁর মৃত্যুতে ১ পুত্র ও ২ কন্যা ওয়ারিশসূত্রে ওই ভুমির মালিক হন।
ভুক্তভোগী মোশাররেফ হোসেন উক্ত ভুমি উন্নয়ন করে তাঁর নাবালক সন্তান আবরার শাহরিয়ার ও হুমায়রা ফায়রুজের নামে ১২৭১ নং হেবা দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন,যা রেজিস্ট্রি হয় চলতি বছরের ৪ মার্চ। দলিলের পরপরই আবরার শাহরিয়ার গং ওই ভুমিতে মালিকানা সাইনবোর্ড টানান।
এদিকে মনোহর আলী ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ১৬৭২ নং দলিলের মাধ্যমে শহিদ উল্যার কন্যা নুসরাতের কাছ থেকে ভুমি ক্রয় করেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে—তিনি ০.২৫ শতাংশ ভুমি ক্রয়ের পরিবর্তে অতিরিক্ত অংশ দলিল করে নেন।
এ নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে প্রথমে থানায় বৈঠক হয়,পরে আবরার শাহরিয়ার গং নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এডিএম আদালতে পিটিশন মামলা (নং ১৯৮/২৫) দায়ের করেন। আদালত ২১ জুলাই ২০২৫ তারিখে আবরার শাহরিয়ার গং-এর দখল নিশ্চিত করে মনোহর আলী গংকে উক্ত ভুমিতে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দেন।
কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে মনোহর আলী গত সোমবার গভীর রাতে ভাড়াটে লোক নিয়ে উক্ত ভুমিতে বালু ভরাট করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও,সময়মতো পুলিশ ঘটনাস্থলে না পৌঁছানোর অভিযোগও উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনোহর আলী সাংবাদিকদের বলেন, ভুল করেছি না ঠিক করেছি—তা আদালতই দেখবে।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন,অভিযোগ পেয়েছি,এসআই উদয়ন বড়ুয়াকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।