1. alamgirhossen6085@sokalerkhobor24.com : alamgirhossen6085 :
  2. dinislam1144@sokalerkhobor24.com : Din Islam : Din Islam
  3. litonakter@sokalerkhobor24.com : litonakter :
  4. nalam.cht@sokalerkhobor24.com : nalam.cht :
  5. reporter1@sokalerkhobor.com : reporter1 :
  6. info@sokalerkhobor24.com : sokalerkhobor24 :
  7. admin@sokalerkhobor24.com : unikbd :
আত্মসমর্পণকারী সেনা কর্মকর্তারা নির্দোষ, অপরাধীরা ভারতে পালিয়েছে:ব্যারিস্টার সারোয়ার | সকালের খবর ২৪
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গাজীপুরের সাবেক কমিশনার নাজমুল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন, জানাল পুলিশ ফুলবাড়ীতে ১৯৬ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাঝে ছাগল বিতরণ টেকনাফে ১০ হাজার ইয়াবাসহ মাদক পাচারকারী আটক নালিতাবাড়ীতে আইনজীবীর বাড়িতে ভাংচুর, প্রাণনাশের হুমকি নোয়াখালীতে ডিএনসি-র‍্যাবের যৌথ অভিযানে ২ রোহিঙ্গা গ্রেফতার, উদ্ধার ২ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা ঢাকায় আওয়ামী লীগের ৩৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার গলাচিপায় নতুন দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ক উন্নয়ন সভা মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযান: বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২০ জন গ্রেফতার সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের অভিযানে নিখোঁজ পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার

আত্মসমর্পণকারী সেনা কর্মকর্তারা নির্দোষ, অপরাধীরা ভারতে পালিয়েছে:ব্যারিস্টার সারোয়ার

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৯৩ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় হেফাজতে থাকা ১৫ জন সেনা কর্মকর্তারা আদালতে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) আত্মসমর্পণ করেছেন, তারা নির্দোষ বলে দাবি করেছেন তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন। তিনি বলেছেন,এই মামলার মূল অপরাধীরা ভারতে পালিয়ে গেছেন।

বুধবার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আসামি হিসেবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করার পর শুনানি শেষে আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন। ট্রাইব্যুনাল কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে এই সেনা কর্মকর্তাদের ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

১৫ আসামির আইনজীবী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এর আগে সেনা সদরের আদেশে সংযুক্তকৃত ১৫ জন অফিসার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আজকে স্বেচ্ছায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে সারেন্ডার করেছেন। তারা অনেক সিনিয়র অফিসার, অভিজ্ঞ অফিসার। আন্তর্জাতিক বাহিনীতেও অনেকে চাকরি করেছেন। তারা সবাই আশা করেন, এই আদালতের মাধ্যমে তারা ন্যায়বিচার পাবেন।’

প্রসিকিউশন এই সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসার কথা জানিয়েছিল। সে বিষয়ে প্রশ্নে আসামিদের আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা জানি তারা আত্মসমর্পণ করেছেন। কিন্তু সেটা পুলিশের মাধ্যমে কোর্টে সারেন্ডার করেছেন, সেটাকে তারা বলেছেন যে তারা গ্রেফতার হয়েছেন। তারা কখনোই গ্রেফতার ছিলেন না। আগে সেনা সদর ব্রিফিং করেছিল, সেখানে তারা বলেছেন, তারা আর্মি হেফাজতে আছেন।’

এই সেনা কর্মকর্তারা হলেন- মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলের গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা একটি মামলায় মোট ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন। এরপর ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এই মামলাগুলোয় বাকি আসামিদের দিকে ইঙ্গিত করে আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই অফিসাররা অত্যন্ত আত্মবলে বলিয়ান এবং তারা নির্দোষ। তারা কোর্টের মাধ্যমে ভবিষ্যতে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলে আশাবাদী। যারা সত্যিকারের অপরাধ সংঘটন করেছেন, তারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে গেছেন। জেনারেল কবির, জেনারেল আকবর, জেনারেল তারিক সিদ্দিকী, জেনারেল মুজিব পালিয়ে গেছেন।’

পৃথক এসব মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনও আসামি। এর মধ্যে আল–মামুন গ্রপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন অ্যাপ্রুভার। তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে, তা শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সকালের খবর ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি ।
Developed By UNIK BD