

সোহেল সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় দিয়ে এক কেজি ইয়াবার দাম মান অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা। এসব ইয়াবা স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কারবারির কাছে পাইকারি দরে বিক্রি হয়। ইয়াবা বিক্রি করে কেউ কেউ কোটিপতিও হয়েছেন। ইয়াবা বিক্রিতে জড়িত স্থানীয় বেশ কিছু প্রভাবশালী।
আখাউড়ায় ইয়াবাসহ আটক মো. শাহপরান নামে এক মাদককারবারি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের একটি ভিডিও এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। প্রায় তিন মিনিটের ওই ভিডিওতে আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন গ্রেপ্তার শাহ পরানের কাছ থেকে বেশকিছু তথ্য বের করেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শাহ পরানের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই নোমান নামে এক ইয়াবাকারবারিকে আটক করে আখাউড়া থানা পুলিশ। এছাড়া শাহ পরান ভিডিওর ভাইরেও আরও যেসব মাদককারবারির নাম বলেছেন তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর আখাউড়া পৌর এলাকার বাইপাস থেকে ৯৫০ পিস ইয়াবাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার, মাদকের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, মাদক বিক্রি নগদ টাকা কারবারিদের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। মাদক কারবারিদের মধ্যে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল উথারিয়া পাড়ার নান্নু মিয়ার ছেলে ৩ ডরজনএর অধিক মাদক মামলার আসামি মো. শাহপরান (৩৯)কে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের সোপর্দ করেন পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আবেদন করেন আদালত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিদেন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে।
শাহপরান পুলিশকে জানায়, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকজন মাদককারবারি রয়েছে। এর মধ্যে একজন ইয়াবার ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছেন এমন তথ্য পুলিশকে দিয়েছেন । ওই ব্যক্তি কেজি হিসেবে ইয়াবা কিনেন। এক কেজি ইয়াবার দাম মান অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা। এসব ইয়াবা স্থানীয় কারবারিদের মাঝে পিস হিসেবে পাইকারি বিক্রি করা হয়। এছাড়া, কয়েকজন পুরুষের পাশাপাশি নারী মাদককারবারি কোটিপতি রয়েছেন যারা ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত।এ বিষয়ে ওসি মো. ছমিউদ্দিন বলেন, ‘শাহপরানের কাছ থেকে বেশকিছু তথ্য ও মাদককারবারিদের নাম পেয়েছি। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে মাদককারবারিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’